পত্রিকায় আসবে এসময় অভিযোগ করে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে কিছু থাকে না
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০১ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি সংবাদদাতা:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য বলেন, আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। অভিযোগ করলেও, তা করে চূড়ান্ত মুহূর্তে। যে সময় অভিযোগ করলে জাতীয় পত্রিকায় আসবে, এসময় অভিযোগ করে। তখন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু থাকে না। এজন্য তিনি কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন জায়গাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩ টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন উপাচার্য। এসময় তিনি কমিটি দ্ইুটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা অফিসরুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক, এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ
অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়। তাদের ফুল, চকলেট, নাস্তা, ব্যাগ সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ করা হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিং বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। নবীনদের র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা র্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, হল ও বিভাগে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।
এদিকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট ২ হাজার ৪৪৭ টি আসনের মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ফাঁকা ৪৩টি আসনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম।
ইবি সংবাদদাতা