মেসেঞ্জার ভিডিও কলে বন্ধুকে রেখেই নোবিপ্রবির ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪) নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালীর মাইজদীর রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফাহিমা সুলতানা মারিয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। তিনি মাইজদীর রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসায় সহপাঠীদের সাথে থাকতেন।

তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা- এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কোনো কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার আগে মেসেঞ্জারের একটি আইডি থেকে একাধিকবার ভিডিও কলে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। রশিদ কলোনির হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ফাহিমা। বিকেল থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক আত্মীয় বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

সহপাঠীরা জানান, পূজার ছুটিতে সবাই বাড়ি গেলেও ফাহিমা মেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে একটি অনলাইন ক্লাসে অংশ নেননি এবং ফোনেও সাড়া দেননি। অসুস্থতার কারণে তিনি নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। প্রথমে সহপাঠীরা ভেবেছিলেন তিনি ঘুমচ্ছেন। পরে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যুর খবর পান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বাসায় যাওয়ার কথা বললে ফাহিমা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা জানান। বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে কয়েকজন বন্ধুকে বাসায় পাঠানো হলে দেখা যায় ভেতর থেকে দরজা লক করা। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে জানালার সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাহিমার মরদেহ দেখতে পান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিকেল চারটার দিকে ফাহিমা মেসেঞ্জারে এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন। তার মুঠোফোন থেকে এমন আলামত পেয়েছে পুলিশ।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এসে ঐ শিক্ষার্থীকে জানালার সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় পেয়েছি। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে। বাকিটা ময়নাতদন্ত করলে বুঝা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন,  প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার সময় তার মুঠোফোনে ভিডিও কল চালু ছিল। 

তবে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের না করে নিহত মারিয়ার পরিবার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে।


আমার বার্তা/জেএইচ