ইবিতে ওসমান হাদি ও দীপু চন্দ্র দাশ হত্যার প্রতিবাদ পূজা উদযাপন পরিষদের
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০০ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শরীফ ওসমান হাদি ও দীপু চন্দ্র দাশ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইবি পূজা উদযাপন পরিষদ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি বটতলা থেকে শুরু হয়ে ডায়না চত্বর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায়সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
এসময়ে ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘ওসমান ভাইয়ের স্মরনে, ভয় করিনা মরণে’, ‘দিপু ভাইয়ের স্মরনে ভয় করিনা মরণে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আপোশ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দিপু দাদা শ্মশানে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ওসমান ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় তারা।
পংকজ রায় বলেন, ‘হাদি, দিপু এবং আয়েশা এই তিনটা ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আইন নিজের কাছে তুলে নেওয়া এই ধরনের অপরাধ আসলে বাংলাদেশে আমরা ৫ আগস্টের পরে আশা করি না। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটা সুশীল সমাজ, এমন একটা দেশ, যেই দেশে প্রত্যেক জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে বসবাস করবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে মনে হচ্ছে যে কেন জানি অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে পড়ছে। এটার জন্য কে দায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি অন্য কিছু শক্তি। আমার মনে হচ্ছে হাদি এবং দিপু এর মধ্যে কিছু একটা সংযোগ আছে, সেই সংযোগটা বের করেন’।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে বিবস্ত্র করে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আমার বার্তা/সাব্বির আহমেদ/এমই
