২৫ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি দিঘীসগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আব্দুন নূর (মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি) সিরাজগঞ্জ :

ছবি : প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করেও দীর্ঘ সময় ধরে এই সুযোগ না পাওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী।

বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “এমপিওর আশ্বাস শুনতে শুনতে আমাদের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দোকানদাররাও আর বাকিতে কিছু দেন না, কারণ তারা বিশ্বাস করেন আমরা সময়মতো টাকা দিতে পারব না।”

তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতি বছর জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৩ সালে ১৫ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১২ জন পাস করে। চলনবিলের একমাত্র নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি গ্রামীণ নারীদের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মির্জা আব্দুর রশীদ মাহমুদ বকুল বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে এবং মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করছে। আমরা আশা করছি সরকার দ্রুত বিদ্যালয়টিকে এমপিওভুক্ত করবেন।”

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির পূর্ববর্তী সময়ে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মহলীয় চক্রান্তের কারণে প্রতিষ্ঠানটি তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ ডা. মো. আব্দুল আজিজের সহচর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান ম্যাগনেট এবং দিঘীসদগুনা গ্রামের কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টিকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।