শিশুকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন স্কুলশিক্ষক চাচি: পুলিশ
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক শত্রুতার জেরে ছয় বছরের শিশু তায়েবাকে তার আপন চাচি আয়শা বেগম হত্যা করে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আয়শা বেগমকে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। তিনি সখিপুর সরকার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সখিপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের মেসবাহউদ্দীন মোল্লার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তায়েবা ওই গ্রামের টিটু সরদারের মেয়ে ও স্থানীয় দারুন নাজাত মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গতকাল শনিবার সখিপুরে সর্বস্তরের মানুষ তায়েবার হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। গতকাল রাতে তায়েবার আপন চাচি আয়শা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সখিপুরবাসী। আজ রোববার সকাল থেকে শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সখিপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা সখিপুর থানা ঘেরাও করেন।
এ সময় সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার কথা জানান।
ওসি বলেন, ‘আমরা আয়শা নামে একজন খুনিকে শনাক্ত করেছি। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জেরে শিশু তায়েবাকে তার আপন চাচি আয়শা বেগম হত্যা করেছে, এমনটি ধারণা করছি। এ বিষয়ে কিছু সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।’
আমার বার্তা/এমই