যুক্তরাষ্ট্রে এবার ওষুধ রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

যুক্তরাষ্ট্রে এবার ওষুধ রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প। আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশটিতে ব্র্যান্ডের ও পেটেন্ট করা সব ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানিতে এই শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের দাম দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ছিল প্রক্রিয়াজাত ওষুধ, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র এসব পণ্য আমদানি করে তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ভারত।

যদিও ট্রাম্প শর্ত দিয়েছেন, কোনো বিদেশি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ কারখানা স্থাপন করলে তাদের জন্য শুল্ক মওকুফের সুযোগ থাকবে। তবে তিনি কেন ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে হঠাৎ শুল্ক আরোপ করলেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া, এই আমদানি শুল্ক তার আগের আরোপ করা প্রতিশোধমূলক শুল্কের (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ)-এর সঙ্গে বাড়তি শুল্ক হিসেবে যোগ হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত করেননি।

বিশ্বে ওষুধের অন্যতম বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এখানে ওষুধের দাম দ্বিগুণ হলে শুধু মার্কিন ভোক্তারাই নয়, রপ্তানিকারক দেশগুলোও বড় ধাক্কা খাবে। আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ভারতের মতো দেশগুলো যাদের অর্থনীতির বড় অংশ ওষুধ রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, তারা কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ তৈরি করতে পারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে হঠাৎ করে এমন শুল্ক আরোপ বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি করবে। এতে ওষুধের দাম বাড়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে সরবরাহ সংকট তৈরি করতে পারে।

মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বিষয়ে কংগ্রেস বা আদালত হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। দাম বাড়লে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। - সূত্র: আল-জাজিরা


আমার বার্তা/এমই