দিনে ৮ ঘণ্টা অফিসে বসে থাকেন? এই ৫ অভ্যাসই বাড়াচ্ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

যারা বাড়িতে থাকেন বা শারীরিক কাজে যুক্ত, তারা সাধারণত বারবার নড়াচড়া করেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সুস্থ মানুষ প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন।
কিন্তু কর্পোরেট বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই আলাদা—নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চাপ, লক্ষ্য অর্জনের দৌড়ঝাঁপ, মিটিং–এর পর মিটিং। ফলে তারা প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকেন, এমনকি ডেস্কেই খাবার খেয়ে নেন। এতে শরীরের স্বাভাবিক রুটিন ভেঙে যায়।
লন্ডনে কর্মরত চিকিৎসক কর্ণ রাজনের মতে, অফিসে দীর্ঘসময় কাজ করা মানুষের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস চুপিসারে তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাসের কথা বলেছেন—
১. দীর্ঘসময় একই জায়গায় বসে থাকা
চিকিৎসকের ভাষায়, "এখন দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা নতুন ধূমপানের মতো ক্ষতিকর।"
অফিসের চাপে অনেকেই ৬–৮ ঘণ্টা প্রায় না উঠেই বসে কাজ করেন। এই নিষ্ক্রিয়তা শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলেও ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না—আর এটাই ডায়াবেটিসের অন্যতম সূচনা।
২. অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা
সময় বাঁচাতে বা চাপ সামলাতে অনেকেই ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার, মিষ্টি বা চিনি–সমৃদ্ধ পানীয় বেশি খান। এসব খাবারে থাকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অতিরিক্ত ক্যালোরি ও চিনি—যা ওজন বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আরও বাড়িয়ে দেয়।
৩. কম বা অনিয়মিত ঘুম
দীর্ঘদিন ধরে ৬–৭ ঘণ্টার কম ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এতে ইনসুলিন কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া
অফিসে যাওয়ার তাড়াহুড়োয় অনেকেই প্রাতরাশ করেন না। দীর্ঘসময় পেট খালি থাকলে ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়। এতে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় এবং সময়ের ব্যবধানে তা ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে।
৫. মানসিক চাপের মাত্রা বেশি
নিত্যদিনের কাজের চাপ মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। এতে কর্টিসল নামের স্ট্রেস–হরমোন বেড়ে যায়, যা রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায় এবং উচ্চচিনি বা উচ্চনোনতা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা আরও বাড়িয়ে তোলে—ফলে ঝুঁকি আরও ঘনীভূত হয়।
