অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সতর্ক বিশেষজ্ঞদের
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মানবদেহের সুস্থতা ও স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে ঘুমের গুরুত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। পর্যাপ্ত ঘুম শুধু শারীরিক বিশ্রামই দেয় না, বরং হরমোনের ভারসাম্য, বিপাকক্রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত।
ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ ‘দীপশিখা জৈন’ জানান, নিয়মিত ঘুমের ঘাটতি শরীরে একাধিক জটিল সমস্যা ডেকে আনতে পারে, যার অনেকগুলোই শুরুতে চোখে পড়ে না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। না হলে নীরবে তৈরি হতে থাকে জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি। যেমন-
শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায়
ঘুমের অভাবের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর একটি হলো প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চললে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে
হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
ঘুমের সময়ই মূলত পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায় এবং নিজেকে পুনর্গঠনের সুযোগ পায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অন্ত্রে বর্জ্য পদার্থের চলাচল ধীর হয়ে যায়, যার ফলে সকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
নিয়মিত কম সময় ঘুমাতে থাকলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে শরীরকে ইনসুলিন প্রতিরোধী করে তোলে। ফলস্বরূপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
ঘুমানোর ভঙ্গিও স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে
সতর্কতা
শুধু ঘুমের সময় নয়, ঘুমানোর ভঙ্গিও স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তাই নিজের শরীরের সংকেত বুঝে ঘুমানোর ভঙ্গি নির্বাচন করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
তাই সুস্থ থাকতে শুধু খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়াম নয়, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুমকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভালো ঘুমই হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আমার বার্তা/এল/এমই
