আসিফের বিবৃতিকে মিথ্যাচার বললেন ইশরাকের অনুসারীরা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ১৮:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনের শপথ সংক্রান্ত ইস্যুতে দশটি বাধা আছে বলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন তাকে চরম মিথ্যাচার বলেও আখ্যা দিয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে নগর ভবনের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি থেকে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবারও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের সাবেক সচিব মশিউর রহমান।
এখনও কেনো ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন তুলে মশিউর রহমান বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যদি আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা থেকে নগরভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টার কর্মসূচির আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গ মার্কেট এলাকা ব্লকেড করে দেয় আন্দোলনকারীরা।একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলবস্থা বিরাজ করে নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকায়।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, জনগণের ভোটের রায় শেখ হাসিনা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আদালতের রায়ে ভোটের মর্যাদা ফিরে পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনও গেজেট দিয়েছে। কিন্তু এই সরকারের লোকজন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে না। অবিলম্বে ইশারাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।
এদিকে সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে স্টেজ বানিয়ে অবস্থান করে নগর ভবন এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
এ নিয়ে গেল পাঁচ দিন ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে গত শনিবার এবং রোববার সচিবালয় অভিমুখে হাজার হাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের ভেতরে যাওয়ার সব গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দফতরে বসতে পারছেন না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে আসা সেবা প্রত্যাশীরা কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছেন।
আমার বার্তা/এমই