গোপালগঞ্জে হামলা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র কি না, প্রশ্ন ফারুকের

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চাই—কে এই হামলা করল? কেন করল? আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এক লাখের বেশি পুলিশ নিয়োগ পেয়েছে। তারা এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। অথচ ১১ মাস কেটে গেল, এখনো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া গেল না।”

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক মানববন্ধন ও গণসংগীত কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূ মন্তব্যের প্রতিবাদে।

জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, “নির্বাচনের তারিখ সামনে এলেই একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এখন প্রশ্ন ওঠে—গোপালগঞ্জের এই হামলা কি সেই পুরনো কৌশলেরই অংশ? একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা কি চলছে?”

তিনি আরও দাবি করেন, “লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে যখন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখনই দেশের ভেতরে নানা ধরনের অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসিনি। এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান, যিনি কেবল স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, যুদ্ধও করেছেন।”

জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ করে ফারুক বলেন, “আপনারা অতীতে যা করেছেন, জাতি তা জানে। ১৯৭১ সালে কারা পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিল, তা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। অতএব, ইতিহাস স্মরণ রেখে কথা বলুন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান।”

তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে মত প্রকাশ করতে পারবেন, যেখানে থানায় পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করা হবে না, আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কোনো স্থান থাকবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।”

শেষে সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ না হলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করুন—যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।