১৩৩ প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করলো গণফোরাম
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:২০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৩ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে গণফোরাম।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি নিজে ঢাকা-৬ আসন থেকে প্রার্থীতা করবো। এ ছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রার্থীতা করবেন মাগুরা-১ আসন থেকে।
এ ছাড়া দলের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন প্রার্থীতা করবেন ঢাকা-৫ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রার্থীতা করবেন নরসিংদী-৩ আসন থেকে, মোশতাক আহমেদ প্রার্থীতা করবেন কুমিল্লা-৩ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর প্রার্থীতা করবেন চাঁদপুর-৩ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম প্রার্থীতা করবেন বরগুনা-২ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট আনসার খান প্রার্থীতা করবেন সিলেট-১ আসন থেকে, আব্দুল হাসিব চৌধুরী প্রার্থীতা করবেন হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে, শ্রী রতন ব্যানার্জী প্রার্থীতা করবেন চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট আবদুল হাফিজ প্রার্থীতা করবেন ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস প্রার্থীতা করবেন বরিশাল-৬ আসন থেকে, এবং গোলাম হোসেন আবাব প্রার্থীতা করবেন সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান প্রার্থীতা করবেন ময়মনসিংহ-৮ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ প্রার্থীতা করবেন মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে।
এ সময় এগুলো ছাড়াও সারা দেশের ১৩৩ আসনের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন সুব্রত চৌধুরী।
ঘোষণা শেষে তিনি বলেন, আমাদের ১৩৩ জনের নাম আজকে আমরা প্রকাশ করলাম। বাকিগুলো আমরা পরবর্তী পর্যায়ে দেবো। আজকে যাদের নাম নেই তারা আগামী পর্যায়ে সুযোগ পাবেন। এটা একটা আংশিক তালিকা, প্রাথমিক তালিকা। এখান থেকে অনেকে বাদও যেতে পারেন আবার অনেক নতুন করে যুক্তও হতে পারেন।
প্রার্থী ঘোষণার আগে বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী বলেন, গত ১৭ তারিখ যে জুলাই সনদ বের হয়েছিল। সেখানে অনেক দল স্বাক্ষর করেছে, দুই একটি দল করে নাই। তার মধ্যে আবার নতুন দলও আছে, যারা জুলাই সনদের অগ্রবাহিনী হিসেবে নিজেদেরকে দাবি করে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, যে ঐক্যটা জুলাই আন্দোলন এবং তার আগে থেকে আমাদের কাছে সৃষ্টি হয়েছিল সে সময়ে এসে কয়েকটি দল আবার নতুন করে কিন্তু দাবিদাওয়া সরকারের কাছে উপস্থাপন করছে। এমনকি তারা বলেছে, প্রথমত পিআর পদ্ধতি না হলে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। দ্বিতীয়ত তারা বলছে গণভোট যদি নির্বাচনের আগে না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারিতে কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নাই। ২০২৯ এ নাকি নির্বাচন হবে। প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরও আগামী সোমবারেও নাকি আবার যমুনা বাসভবন ঘেরাও করা হবে। তার মানে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনটা যাতে ঘোষিত সময়ে না হয় সেজন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল...আমরা দেখতে পাচ্ছি।
গণভোট নিয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণভোট প্রশ্নে যে চার দফা দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। আমাদেরও আছে। যে এটা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই। এটার ভাষাগত ব্যাপার আছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মার্কা দেখে নির্বাচন করতে ঐক্য হয়ে গেছে। আর এই চারটা দাগের উপর হা-না ভোট তো খুব কঠিন। আপনি তিনটাতে হা হতে পারেন, দুইটাতে না হতে পারে। এই হিসাব নিকাশ কীভাবে হবে? তার মানে এখানেও একটা শুভংকরের ফাঁকি আছে।
তিনি আরও বলেন, প্যাকেজ করে দিয়েছে চারটা সংবিধান বিষয়ে আপনাকে আগে হ্যাঁ বলতে হবে। আপনার আপনার যেটাতে না দেওয়ার কথা সেটার সুযোগ রাখছে না। আর না বললে পুরাটাই না বলতে হবে। তাহলে এই বিতর্কটা থেকেই গেল এবং এটা চলতে থাকবে। এটা আমরাও বলছি যে এইভাবে একটা বিষয় প্যাকেজ হিসেবে যদি দেওয়া হয় এবং আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের যে অবস্থা তারা প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি শব্দ বুঝতে একটু কষ্ট হবে।
আমার বার্তা/এমই
