সুন্দর চুলের জন্য মানুষ কি না করে! তবে অনেক সময় নানান রকম হেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করেও কোনো উপকার পাওয়া যায় না। এর একটি কারণ হতে পারে খাদ্যের পুষ্টি; আরেকটি হলো, অনেক রকম যত্ন নিলেও আপনি হয়তো আপনার চুলের প্রয়োজন বুঝে উঠতে পারছেন না।
তবে চুলের সঠিক যত্ন নিতে খুব বেশি পরিশ্রম না করে অল্প কিছু বিষয় নিয়মিতভাবে মানলেই স্বাস্থ্যকর চুলের অধিকারী হতে পারবেন। তাই জেনে নিন এমন ১০টি বিষয় যা আপনার চুলকে আরো সুন্দর করে তুলবে।
১. মাথার ত্বক: শুধু চুলের গায়ে নানান হেয়ার প্যাক লাগিয়ে ফল না পেলে বুঝতে হবে চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছাচ্ছে না। এর একটি মূল কারণ মাথার ত্বকের যথাযথ যত্ন না নেওয়া। আপনার মাথার ত্বক যত সুস্থ থাকবে, চুলের বেড়ে ওঠাও ততো সাবলীল হবে।
২. ঠান্ড পানি: গোসলের সময় শেষবার অবশ্যই ঠান্ডা পনি দিয়ে চুল ধুবেন। এতে ত্বকের কিউটিকলগুলো সংকুচিত হয় এবং চুল দেখতে চকচকে হয়।
৩. নিয়মিত ট্রিমিং: চুল বড় করতে চাইলেও নিয়মিত আগা ছেঁটে ফেলুন। এত চুলের নিচের অংশ ভারী থাকে ও দেখতে ভালো লাগে। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনের ধকলে চুলের আগা ফেটে গেলে তা বেড়ে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।
চুলের যত্নে জানতে হবে যে ১০ তথ্য
৪. কন্ডিশনার: ধুলোবালিতে চুল ময়লা হয়ে যাওয়ার কারণে যদি ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়, তাহলে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। সম্ভব হলে শ্যাম্পু করার দুইঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় তেল মালিশ করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকের শুষ্কতা রোধ করবে।
৫. সিল্কের বালিশ কভার: ঘুমানোর সময় আমাদের চুল বালিশের সঙ্গে শষা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তাই ঘুমানোর আগে চুল শুকিয়ে বেধে নেওয়া ভালো অভ্যাস। সেই সঙ্গে সিল্কের বালিশ কভার ব্যবহার করলে ঘর্ষণ থেকে চুলের ক্ষতি কমানো সম্ভব।
৬. তাপ থেকে সুরক্ষা: আপনি যদি নিয়মিত চুল স্টাইলিং করেন, বিশেষ করে স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার করেন, তাহলে তাপ থেকে বাঁচানোর জন্য ভালো কোন ব্র্যান্ডের হিট প্রটেক্টর পণ্য ব্যবহার করুন।
৭. হেয়ার মাস্ক: সপ্তাহে একদিন ডিপ কন্ডিশনিংয়ের জন্য কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। বাজারের পণ্যের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।
৮. বেশি ঘন ঘন চুল না ধোয়া: চুল যত কম শ্যাম্পু করা যায় ততো ভালো। তাই রাস্তাঘাটে চুল ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন। চুল ময়লা হলে বা মাথা অতিরিক্ত ঘেমে গেলে শ্যাম্পু করুন। পরিষ্কার চুল বারবার ধুবেন না।
৯. চুল আঁচড়ানো: চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে সাবধান হোন। বিশেষ করে চুলে জট ছাড়ানোর সময় বেশি জোরে টানবেন না। সবসময় নিচের অংশ থেকে জট ছাড়ানো শুরু করুন। ভেজা চুল না আঁচড়ানোই ভালো।
১০. পুষ্টি: শুধু চুলের বাহ্যিক যত্ন যথেষ্ট নয়। আপনার চুল পুষ্টি পায় আপনার শরীর থেকেই। এ কারণে শরীরে কোন পুষ্টির অভাব থাকলে তা চুলের স্বাস্থ্যেও দেখা দেয়। তাই পুষ্টিকর খাবার খান ও যথেষ্ট পানি পান করুন।
সূত্র: টাইমস্ অব ইন্ডিয়া