ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নাটকীয়তায় ভরপুর। সাত দিন পর পুনরায় আজ অবশিষ্ট সময়ের খেলা শুরু হয়েছিল। সেই সময়ও খেলা অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। বসুন্ধরা কিংস ৫-৩ গোলে আবাহনীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
টাইব্রেকারেও ছিল নাটকীয়তা। আবাহনীর হয়ে চতুর্থ শট নেন মিরাজুল ইসলাম। তার নেওয়া শট কিংসের গোলরক্ষক মেহদী হাসান শ্রাবণ সেভ করেন। কিংস টাইব্রেকারে এক গোলের লিডে ছিল। চতুর্থ শট আবাহনী মিস করলে কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রাবণের সেভের সঙ্গে সঙ্গে কিংস উল্লাস শুরু করে।
রেফারি অবশ্য আগেই ফাউলের পতাকা তুলেছিলেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত কিংসের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন মানতে পারেননি। রেফারি সায়মন সানি টাইব্রেকার পর্বে এসেও হলুদ কার্ড দেখান কিংসের গোলরক্ষক কোচকে।
মিরাজুল পুনরায় শট নেন। সেই শট অবশ্য শ্রাবণ ঠেকাতে পারেননি। কিংসের হয়ে পঞ্চম ও শেষ শট নিতে আসেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল। তার নেয়া শট জালে প্রবেশ করলে কিংস পুনরায় উল্লাস করে। ফেডারেশনের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পুনরায় তাদের ট্রফি নিজেদের কাছেই রাখতে পারল।
পাশাপাশি ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারার একটা মধুর প্রতিশোধও নিল। সেই ম্যাচে আবাহনী দশ জন নিয়ে খেলে ম্যাচ জিতেছিল। এই ম্যাচে কিংস দশ জন নিয়ে জিতল।
কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কিংসের কোচ ভ্যালরি তিতে গোলরক্ষক জিকোকে নামিয়েছিলেন টাইব্রেকারের আগে। আজ টাইব্রেকারের আগে দুই ফুটবলার পরিবর্তন করেছিলেন। যদিও গোলরক্ষক শ্রাবণের ওপর আস্থা রাখেন। শ্রাবণ তার আস্থার প্রতিদান দেন। আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসা নাইজেরিয়ান এমেকার শট সেভ করে কিংসকে লীড এনে দেন।
আবাহনীর হয়ে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল, মাহাদী খান ও মিরাজুল গোল করেন। আবাহনী দ্বিতীয় শট মিস করায় টাইব্রেকারে চাপে ছিল। অন্যদিকে কিংসের জোনাথন, মোরসালিন, তপু ও ইনসান টানা গোল করে আবাহনীর উপর চাপ অব্যাহত রাখেন। ড্যাসিয়েল শেষ শটে গোল করলে আবাহনীর পঞ্চম শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি আর। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ফাইনালের সমাপ্তি হলো।
আমার বার্তা/এমই