ঘরোয়া ক্রিকেটে বলে কয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি, অথচ জাতীয় দলের জার্সিতে যেন খুঁজেই পাওয়া যায় না। নাম না বললেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন, এমন যে কেউ বলে দিতে পারবেন কার কথা বলা হচ্ছে!
ঘরোয়াতে পারফর্ম করে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয় আবারও সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলেন। গল টেস্টে শূন্য ও চার রানে ফেরা ডানহাতি এই ওপেনার কলম্বোতে থামলেন সেই শূন্যতেই।
অবশ্য একটা জায়গায় ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন ঠিকই। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০ বলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন। আজ কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ১০ বলে শূন্য।
এনামুল কলম্বোতে ফিরতে পারতেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। আসিথা ফার্নান্দোর বলে তার ক্যাচ হাতছাড়া করেন কুশাল মেন্ডিস। তবে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আসিথার ফিরতি ওভারেই উইকেট বিলিয়ে আসেন। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে পাঞ্চ করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন। এনামুলের বিদায়ে দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সঙ্গে জুটিটা বড় করার চেষ্টায় ছিলেন টেস্টের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক। রানের গতি কিছুটা স্লথ থাকলেও উইকেট টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ছিলেন দুই ব্যাটার। তবে যথারীতি থিতু হয়ে আবারও উইকেট বিলিয়ে আসলেন মুমিনুল।
প্রথমবার আক্রমণে আসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে যেন উপহার দিলেন নিজের মূল্যবান উইকেটটা। কভারে ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে নিজেরই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না করলেনটা কি তিনি!। তার বিদায়ে ভাঙে ৭১ বল স্থায়ী ৩৮ রানের জুটি।
গল টেস্টে ব্যাট হাতে দাপট দেখানো বাংলাদেশ কলম্বোতে আত্মবিশ্বাস থেকেই কি না শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিলেন। তবে দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশকে বেশ ভোগালেন লঙ্কান দুই পেসার আসিথা ও বিশ্ব ফার্নান্দো।
আমার বার্তা/জেএইচ