
আকবর আলির নেতৃত্বে গত অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর বিভাগ। প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে এবার এনসিএল চারদিনের ক্রিকেটেও তারাই শিরোপা জিতেছে। অবশ্য এক্ষেত্রে যতটা না নিজেদের অবদান, তার চেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল অন্য দলগুলোর ব্যর্থতার। গতকালই লাল বলের এনসিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাস পাচ্ছিল রংপুর, হিসাব বাকি ছিল কাগজে-কলমে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচ ড্র হতেই রংপুরের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। গতকাল একদিন বাকি থাকতেই খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে রংপুর। সিলেট বরিশালকে হারাতে পারলে রংপুরকে ছাড়িয়ে টেবিল টপার হয়ে চ্যাম্পিয়ন বনে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরিশাল-সিলেটের ম্যাচটি ড্রতে শেষ হয়েছে। ফলে ৩১ পয়েন্ট পাওয়া রংপুর চ্যাম্পিয়ন, দুইয়ে থেকে আসর শেষ করা সিলেটের পয়েন্ট ২৮।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছে বরিশাল বিভাগ। তানভীর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দলটি প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩১২ রান, বিপরীতে সিলেটের প্রথম ইনিংস থামে ২৮৭ রানে। ২৫ রানের লিড পাওয়া বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ইফতেখার হোসেন ইফতির ১২৮ রানের সুবাদে ২৯৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২০ রানের। তারা ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করতেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। তাদের পক্ষে মুশফিকুর রহিম ৫৩ ও আসাদুল্লাহ গালিব ৬১ রান করেন।
বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক তানভীর ইসলাম এবং মইন খান। ম্যাচ ড্র করে তারা সিলেটের জয়ের সুযোগ কেড়ে নিলেও, নিজেরা আসর শেষ করেছে পাঁচ নম্বরে থেকে। ৭ ম্যাচে ২ জয়, ৩ হার ও ২ ড্রয়ের পর তাদের পয়েন্ট ২০। তাদের ওপরে থাকা খুলনার (চার নম্বরে) পয়েন্ট ২২।
এদিকে, ময়মনসিংহও শেষ রাউন্ডে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছে। রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ দিনে জিততে ময়মনসিংহের প্রয়োজন ছিল ২০১ রান, হাতে ছিল এক উইকেট। যা কার্যত অসম্ভবই। তবে আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ময়মনসিংহের পক্ষে ব্যবধান কমিয়েছে। এই পেস অলরাউন্ডার ১২৭ বলে ১০টি চার ও ১৩টি ছক্কায় ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন। তবুও প্রথমবার এনসিএলে খেলতে নামা ময়মনসিংহ হারল ১৪৬ রানের বড় ব্যবধানে। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তৃতীয়।
বিপরীতে, রাজশাহী ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে আসর শেষ করল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকা সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে ছয় ও সাতে অবস্থান করছে।
আমার বার্তা/এমই

