
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তার কথা জানান।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। তিনি দেশের সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। আজ শনিবার পরিবারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই

