ই-পেপার মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

এই বিপ্লব ভোট চায় না, কাজ চায়

রহমান মৃধা:
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭

বাংলাদেশ আর আমি – এ যেন এক অভিন্ন সত্তা। আমি চাইলে দেশটিকে ছেড়ে থাকতে পারি না, আবার তার মিথ্যা, শোষণ আর দুর্নীতির রাজনীতির কারণে কাছে যেতেও পারি না। ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ বলে পেছন ফিরে তাকাই, কিন্তু দেশের রক্তচোষা রাজনীতিবিদদের কুকর্ম আর মিথ্যাচার আমাকে আটকে রাখে।

আমি বিশ্বাস করি—আল্লাহ্‌র আলোকিত পথে হাঁটাই মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই পথেই চলি, যেখানে সত্য আছে, যেখানে প্রিয় মানুষদের আদর্শিক ছায়া পড়ে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, যাদের হাতে দেশ ছিল—তারাই দেশকে পদদলিত করেছে, পথভ্রষ্ট করেছে, মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করেছে।

তাই আজ দূর থেকে দেশের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের চোখের জল দেখে আজ আমি কলম তুলে নিই, বুকের ভেতর জমা ক্ষোভ ছড়িয়ে দিই প্রতিটি শব্দে। কারণ দেশের জন্য কিছু করতে হলে, মুখে বুলি না ঝাড়লেও চলে, কাজে প্রমাণ দিতে হয়।

কিন্তু, হায়! যখনই দেখি কেউ সাহস করে দেশের হাল ধরতে চায়, নতুন করে গড়তে চায় স্বপ্নের বাংলাদেশ—ঠিক তখনই সেই পুরনো গলাবাজ, সেই চেনা মুখগুলো গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে: “নির্বাচন চাই! ভোট চাই!”

তাদের প্রশ্ন করি—কোথায় ছিল এই ভোটের অধিকার, যখন তোমরা ক্ষমতায় ছিলে?

১. শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনের বাইরে ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ১.৫ বছর।

২. জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪.৫ বছর, সেনাশাসনের মুখোশে।

৩. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন পুরো ১০ বছর—সরাসরি সামরিক শাসক!

৪. ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও নির্বাচনের নামে নাটক চলেছে।

৫. আর শেখ হাসিনা—২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত, একের পর এক পাতানো নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন আর ভুয়া উন্নয়নের গল্পে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন।

তাহলে প্রশ্ন জাগে—এই সময়গুলোতে কোথায় ছিল জনগণের প্রকৃত অধিকার?

আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন, বারবার গিয়েছেন—কিন্তু কী দিয়েছেন জাতিকে?

শিক্ষিত বেকারত্ব, পাটকলের গেট বন্ধ, চিকিৎসাহীন মৃত্যু, দুর্নীতির পাহাড়, আর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হাহাকার!

নিজেরা ফকির থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, আর দেশের মানুষ আজও ভাতের জন্য দাঁড়ায় রাস্তায় লাইনে!

এখন যখন বাংলাদেশ তার সত্যিকারের অভিভাবককে পেয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে কণ্ঠরোধের ষড়যন্ত্র—“নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই!” এই আওয়াজ এখন যেন শুধুই বিরক্তিকর প্যাঁচপ্যাঁচানি।

ভাইরে, বিপ্লব কখনও ব্যালট চায় না। ইতিহাসের প্রতিটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বিপ্লবী শক্তির হাত ধরে, জনগণের ভরসা আর নেতৃত্বের আস্থায়।

বিপ্লব মানেই স্বতঃসিদ্ধ বৈধতা।

আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন, ফরাসি বিপ্লব, রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব—সবই ছিল রাজনীতির প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন পথ রচনা করার গল্প।

আজ বাংলাদেশের মানুষ আর ভোটের জন্য গলা ফাটায় না—তারা চায় একজন আদর্শবান, ন্যায়পরায়ণ শাসক।

একজন মানুষ, যে লুটপাট করবে না, ক্ষমতাকে দান হিসেবে নয়—দায়িত্ব হিসেবে নেবে। যে কৃষকের ঘাম বুঝবে, ছাত্রের চোখে স্বপ্ন দেখবে, বৃদ্ধের মুখে শান্তির হাসি আনবে।

আর যারা দিনভর রাস্তায় নেমে নির্বাচন, নির্বাচন বলে গলা ফাটায়—তাদের বলি,

যে নিজের সংসার চালাতে পারে না, সে দেশ চালাবে কীভাবে?

রাজনীতি আজ ব্যবসা নয়, চাকরি নয়—এটা সেবা।

আর যদি সেবা না পারেন, সোজা কাজ করুন, ঘাম ঝরান, পরিবারকে খাওয়ান, দেশের জন্য সৎভাবে আয় করুন।

আমি বিদেশে থেকেও দেশের জন্য কাজ করি। আপনি দেশে থেকে পারবেন না কেন?

দেশপ্রেম মানে ব্যানার নয়, ব্যালট নয়—দেশপ্রেম মানে নিজের যোগ্যতাকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করা।

আজ আমাদের প্রয়োজন সৎ নেতৃত্ব, আদর্শিক কাঠামো আর জাতীয় ঐক্য।

ভোট নয়, দল নয়, ক্ষমতা নয়—আমরা চাই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক নতুন ন্যায়ের ভিতের ওপর।

তাই বলছি—

নোভোটিং এট দিস মোমেন্ট!

বিপ্লবী সরকারের জন্য ভোট লাগে না!

কারণ, সত্যিকারের বিপ্লব কখনও ব্যালটে আসে না—সে আসে মানুষের মঙ্গল আর ইতিহাসের অনিবার্যতার হাত ধরে!

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

ইসরায়েল গাজা ও লেবাননের উপর আগ্রাসন বন্ধ করবে কবে?

জাতিসংঘ কর্তৃক ইসরায়েল গাজার যুদ্ধবন্ধের শান্তিচুক্তি সম্পাদন হলে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। এক সপ্তাহ না

মুসলিমদের প্রতি আগ্রাসন : ভারত যেন আরেক ইসরাইল

দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারত। প্রায় ২৮টি রাজ্য নিয়ে গঠিত এই দেশ। এই দেশে বিভিন্ন

মোবাইল ছেড়ে বই পড়ি

বই পড়া শব্দদ্বয় দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কয়েকটি বিষয় বোঝানো হয়। সেগুলো হলো আমাদের পাঠ্যবই যা ছাত্রাবস্থায়

রক্ত দিয়েও যে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি

শত শত মানুষের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত হলো দেশ। জীবনবাজি রেখে নতুন করে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপদ বাড়াচ্ছে খোলা তেল, ভিটামিন সমৃদ্ধ প্যাকেজিংয়ের তাগিদ

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে ৬৪ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ

গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র মান্নানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া

বাংলাদেশি সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান

শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে

প্রাথমিকে ৮ হাজার সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য, শিগগির বড় বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীতে পৃথক দুই ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২

নাটকীয়তার টাইব্রেকার শেষে চ্যাম্পিয়ন কিংস

মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় আবাহনীর

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের পদোন্নতি, দক্ষ ব্যাংকারদের বঞ্চনা

চিনের রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুন, ঝলসে মৃত্যু ২২ জনের

গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা দিয়েছে হামদর্দ

বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ

এনআইডির সাথে পাসপোর্টও আমলে নিতে হবে

প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা হলে যা করবেন

জবির ঝুঁকিপূর্ণ অবকাশ ভবন, দেয়াল ধসে কর্মচারী আহত

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব পলিটেকনিক

ইসলামী ব্যাংক চালু করলো হজ প্রিপেইড কার্ড

জান্নাতুল বাকিতে যে বিখ্যাত সাহাবিদের কবর রয়েছে

নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জাতিসংঘের