দেশের বাজারে পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ বজায় রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে সোনামসজিদ আমদানি ও রফতানিকারক গ্রুপ।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের এক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
এসময় আমদানি-রফতানিকারকরা জানান, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সীমিত পরিমাণে আইপি দিচ্ছে, যা কখনও ৫০ মেট্রিক টন, আবার কখনও ৩০ মেট্রিক টন। অথচ ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাকে সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ফলে ৩০ মেট্রিক টনের আইপি দিলে এলসি, শুল্ক, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবে। এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে এবং দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
তারা আরও বলেন, আগের মতো উন্মুক্তভাবে আইপি দেয়া হলে আমদানিকারকরা সুবিধা পাবেন, সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। উল্টো দিকে সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে অরাজকতা তৈরি হবে। কেউ আইপি পাবে, কেউ পাবে না, ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব একরামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন, দফতর সম্পাদক মাসুম বিল্লাহসহ কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ।
আমার বার্তা/এল/এমই