শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিতরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সকালে। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এরপর শুরু হয় হট্টগোল।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীরা সংস্থাটির চেয়ারমান আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। তবে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে সেখানে ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর ১২টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের বোরাক টাওয়ারে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দেড় শতাধিক নিবন্ধন সনদধারী অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবি জানাচ্ছেন।
১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েছেন মো. জসিম। তবে তিনি ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাননি। জসমি বলেন, ‘আমার সনদের মেয়াদ থাকলেও বয়সসীমা দেখিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাহলে এ নিবন্ধন সনদের জন্য এত কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে লাভটা কী?’
ইউসুফ আহমেদ ইমন নামে আরেকজন বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও আমাদের আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আবেদনের সুযোগের দাবিতে আমরা এনটিআরসিএতে এসেছি। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্যপদে আমাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না।
জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। এক বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে ১৭তম নিবন্ধনের ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের ৪ জুন। এতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়।
সনদধারীরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পদগুলো বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ করার দাবি ১৭ ও ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।
আমার বার্তা/এল/এমই