বাংলাদেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান পাঠাও (Pathao) ২০২৫ সালে সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। এই অর্জনকে পাঠাও-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে তৈরি, বাংলাদেশের জন্য তৈরি’ এই মূলমন্ত্রে শুরু হওয়া পাঠাও মাত্র ১০ বছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন স্বীকৃতি অর্জন করে নতুন ইতিহাস গড়ল। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালেই পাঠাও তার ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, যা এই অর্জনকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
সুপারব্র্যান্ডস হলো একটি বিশ্বমানের সংস্থা, যারা বিভিন্ন শিল্পখাতে মান, নির্ভরযোগ্যতা ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে সম্মানিত করে। বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রদান করা এই স্বীকৃতি ব্র্যান্ড জগতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সুপার অ্যাপ চালু করা পাঠাও সেই বিশেষ ক্যাটাগরিতেই পুরস্কার অর্জন করে নিজস্ব উদ্ভাবনের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেছে।
গত দশ বছরে পাঠাও বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার চিত্রই বদলে দিয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, পার্সেল ও কুরিয়ার, এবং ডিজিটাল পেমেন্টকে একসাথে এনে পাঠাও গড়ে তুলেছে একটি লাইফস্টাইল-ড্রিভেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির রয়েছে ১ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী, ১ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী এবং কয়েক লক্ষ রাইডার, ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট। এ পর্যন্ত পাঠাও বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
২০২৫ সাল পাঠাও-এর জন্য সাফল্যে ভরপুর একটি বছর। সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও এ বছর প্রতিষ্ঠানটি ফোর্বস এশিয়ার ‘100 to Watch’ তালিকায় স্থান পেয়েছে, যেখানে কোম্পানির প্রভাব ও উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফাহিম আহমেদ এই অর্জন নিয়ে বলেন, সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন পাঠাও-এর জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে আমাদের ইউজার ও পার্টনাররা আমাদের ওপর ভরসা রাখেন। গত ১০ বছরে আমরা চেষ্টা করেছি এমন একটি প্রোডাক্ট তৈরি করতে, যা মানুষ ব্যবহার করতে ভালোবাসবে এবং যার জন্য অর্থ ব্যয় করতেও খুশি থাকবে। এই স্বীকৃতি আমাদের নতুনত্ব ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে আরও অনুপ্রাণিত করছে। পাঠাও সবসময়ই মানুষের নির্ভরযোগ্য যাত্রাসঙ্গী হয়ে থাকবে।
আমার বার্তা/এল/এমই