রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন তহবিল দিচ্ছে জাপান সরকার। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে এ অর্থায়ন দিচ্ছে দেশটি।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জাপান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপানের এ অনুদানের মাধ্যমে ডব্লিউএফপি এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ২ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশিকে মাসিক খাদ্য সহায়তা ও পুষ্টি সহায়তা দেবে। পরিবারগুলো ভাত, ডাল এবং তাজা শাকসবজিসহ ক্যাম্প স্টোরগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাবার কেনার জন্য ই-ভাউচার পাবে। এই অর্থের মাধ্যমে অপুষ্টি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে ছোট শিশু ও গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের কাছে বিশেষ পুষ্টি সহায়তা পৌঁছাবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার জন্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সহায়তা দেওয়ার জন্য জাপান বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং মানবিক তহবিল কমতে থাকায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জাপান ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট রোধ করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে অবদান রাখতে ডব্লিউএফপি ও সমস্ত অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলি বলেন, জাপানের এই অংশীদারিত্ব এবং দেশটির জনগণের উদারতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধ করতে সাহায্য করে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন অবধি জাপান সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে।
আমার বার্তা/এমই