ই-পেপার সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

দেশের বারোটা বাজিয়ে মন্ত্রীদের নতুন গাড়ি নয়—প্রথমে গরিবের ভাগ্য বদলাতে হবে

রহমান মৃধা:
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৯

কে এই ডাকাত মন্ত্রীরা, যারা গরিব দেশের টাকায় কোটি কোটি টাকার এসইউভি কিনে বসবে? এরা কি দেশের সেবক, নাকি রাষ্ট্র লুটে খাওয়া চোর? আগের সরকারের গাড়িগুলো গেল কোথায়? চুরি হলো, পাচার হলো, নাকি নিজের গ্যারাজে লুকিয়ে রাখল? কেন প্রতিবার ক্ষমতায় এলেই নতুন গাড়ি কিনতে হবে? উন্নয়নের বুলি কেবল মুখে, হাতে শুধু লুটের হিসাব!

বাংলাদেশ ৫৪ বছর ধরে কী দেখেছে? রাজনীতিবিদদের ধারাবাহিক ডাকাতি, সম্পদ পাচার, গরিবের রক্ত দিয়ে বিলাসবহুল প্রাসাদ বানানো। ১৯৮৮ সালে এমপিদের জন্য চালু হলো ডিউটি-ফ্রি গাড়ি—তারপর থেকে তারা এমপি নয়, গাড়ি ব্যবসায়ী। কোটি টাকার গাড়ি আনা হলো, পরে বেচে দেওয়া হলো, টাকা ঢুকল ব্যক্তিগত পকেটে। ২০১৮ সালে ওআইসি সম্মেলনের নামে কেনা হলো মার্সেডিজ-বিএমডব্লিউ, সম্মেলন শেষ হতেই গাড়িগুলো ভাগ হয়ে গেল ভিআইপিদের দখলে। এটা রাষ্ট্র নয়, মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়া লুটের বাজার।

এবার শুধু মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি এসইউভি নয়, মোট ২৮০টি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা আছে—৪৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতিটি গাড়ির দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এ টাকার উৎস কোথায়? গরিব মানুষের কর, কৃষকের ঘাম, শ্রমিকের রক্ত, প্রবাসীর রেমিট্যান্স। অথচ সেই মানুষরা একমুঠো চাল কিনতে পারে না, হাসপাতালের বেড নেই, অক্সিজেন নেই, স্কুলে শিক্ষক নেই। কিন্তু মন্ত্রীদের থাকতে হবে নতুন চকচকে গাড়ি। এরা কি মানুষ, নাকি জাতির রক্তচোষা জোঁক?

সরকার নিজেরাই স্বীকার করেছে—“সমাপ্ত প্রকল্পের গাড়িগুলো” ফেরত আসে না, পড়ে থাকে নষ্ট হয়ে, অথবা হাওয়া হয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন—কারা সেই গাড়ি গিলে খেল? কোন মন্ত্রী, কোন আমলা দায়ী? কেন মামলা হয় না? কেন জবাবদিহি নেই? পুরোনো গাড়ি রিফার্বিশ করে আবার ব্যবহার করা যায় না কেন? কেন প্রতিবার কোটি কোটি টাকা ঢালতে হবে নতুন গাড়ির নামে? এ তো দিনের আলোয় ডাকাতি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে—বাংলাদেশ ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫১তম। অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্র আজ দুর্নীতির ডাস্টবিন। মন্ত্রীরা গাড়ি চালাতে জানে, কিন্তু হাসপাতালের অক্সিজেন কিনতে জানে না। এমপিরা ডিউটি-ফ্রি গাড়ি বেচে দেয়, কিন্তু গ্রামের স্কুলে একজন শিক্ষক বাড়াতে পারে না। প্রশ্ন একটাই—এই গাড়ি কার জন্য? মন্ত্রীরা কি গাড়িতে চড়বে, নাকি জনগণ খালি পায়ে হাঁটবে?

বাংলাদেশের মানুষ কি দাস? কেন প্রতিটি সরকারের প্রথম কাজ হয় গাড়ি কেনা, আর শেষ কাজ হয় দেশকে লুটে খাওয়া? কতদিন চলবে এই অপমান? এক মুঠো চাল না পাওয়া মানুষদের ঘাম দিয়ে কেন মন্ত্রীদের বিলাসবহুল কনভয় সাজানো হবে?

জাতিকে বুঝতে হবে—এরা সেবক নয়, এরা চোর। এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা ক্ষমতার দালাল, রাষ্ট্রের শকুন। গরিবের রক্ত খেয়ে ধনী হচ্ছে, বিদেশে পাচার করছে। উন্নয়নের কথা মানে ভিখারির হাতে সোনার ঘড়ি—শুধুই প্রতারণা আর ডাকাতির মুখোশ।

এখন চাই পূর্ণাঙ্গ অডিট—কোন গাড়ি কোথায় আছে, কোনটা ফেরত এসেছে, কোনটা গিলে খাওয়া হয়েছে। জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে সব নম্বরপ্লেট ও চেসিস নাম্বার। জমা না দিলে সরাসরি মামলা করতে হবে। পুরোনো গাড়ি মেরামত করে আবার ব্যবহার করতে হবে। ডিউটি-ফ্রি সুবিধা বন্ধ করতে হবে। নতুন গাড়ি কেনার নামে জাতিকে আর ঠকানো যাবে না।

জনগণের চাহিদা স্পষ্ট—নতুন এসইউভি নয়, চাই হাসপাতালের অক্সিজেন। বিলাসবহুল কনভয় নয়, চাই সাশ্রয়ী চাল–ডাল। মন্ত্রীর আরাম নয়, চাই মানুষের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। গাড়ি কেনা মানেই রাষ্ট্র লুট করা—এই নগ্ন সত্য এখন জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে গেছে।

দেশটা কার? জনগণের, নাকি এই দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের?

এখনই সময়, জনগণকে দাঁড়াতে হবে। বলতে হবে—আর না, একটুও নয়!

জনগণের রক্ত–ঘামে উপার্জিত টাকায় গাড়ি, বাড়ি, বিলাসবহুল সুবিধা—এই বেহায়াপনা আর চলবে না।

প্রথমে পরিবর্তন আসুক জনগণের ভাগ্যে।

মানুষ যেন পায় ভাত, কাজ, চিকিৎসা, শিক্ষা—এটাই প্রধান কর্তব্য।

তারপরই ভাবা যাবে—রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আদৌ কোনো বিলাসের যোগ্য কি না।

যারা দুর্নীতির টাকা দিয়ে ভোগে মত্ত, তারা সেবক নয়—জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের ডাকাত।

এখনই শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

বছরের পর বছর ধরে “সংস্কার” বলে যা দেখানো হলো, তা কি নমুনা?

এধান্দাবাজি বাদ দিয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এখনই।

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

আমার বার্তা/জেএইচ

শেখ হাসিনার অধীনে পরপর ৩টি নির্বাচনেই জাতীয় পার্টিকে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে

বিশিষ্ট কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ- মাসরুর মওলা বলেছেন- “শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে পর পর ৩টি নির্বাচনে অংশ

পর্যটন আকর্ষণে প্রয়োজন পর্যটন গন্তব্যগুলোর সামগ্রিক উন্নয়ন এবং শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং

বাংলাদেশ, প্রকৃতির এক অপার উপহার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ম্যানগ্রোভ বনের শ্বাসমূলের

রোহিঙ্গা ঢেউ, আরাকান আক্রমণ: তহবিল সংকটে তৎপরতা

রোহিঙ্গাদের বাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে এখন পাঁচ লাখেরও কম রোহিঙ্গা রয়েছে, এবং আরাকান আর্মির চলমান নিপীড়ন

মিয়ানমারে রাশিয়া এবং আমেরিকার আগ্রহ ও প্রভাব

বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো তাদের প্রভাব বলয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। সামরিক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজা উপলক্ষে বড়লেখায় ইউএনও'র পূজামণ্ডপ পরিদর্শন

শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তি দাবি, ওসিকে অপসারণের হুঁশিয়ারি

অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধে তাড়াইলে যুবক নিহত

মধ্যনগরে ২০০ লিটার চুলাই মদ জব্দ করলো প্রশাসন

খাগড়াছড়িতে সেনা-পুলিশসহ আহত অনেকে, তিন পাহাড়ি নিহত

শিক্ষার্থীদের চেয়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিস্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: ফায়েজ

দুই দাবিতে ইউজিসিতে জবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান

শিশুকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন স্কুলশিক্ষক চাচি: পুলিশ

খাগড়াছড়িতে অবরোধকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মেজরসহ ১১ সেনাসদস্য আহত

সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৮ হাজার কোটি

সংবাদ ও জনসংযোগে শক্তিশালী এআই প্রযুক্তি আবিষ্কার অপরিহার্য: নাহার খান

সনি এক্সপোর মেয়াদ বাড়ল আরো ২ দিন

বিএজেএফের সভাপতি সাইদ শাহীন, সম্পাদক আবু খালিদ

একীভূত হতে যাওয়া ৫ ব্যাংকের প্রশাসকের নাম চূড়ান্ত

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় জামায়াত

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা, কমলো বিমান ভাড়া

ইলিশের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

সভাপতির চিঠি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, বিসিবি নির্বাচনে বাধা নেই

সাবেক সিইসিদের পরিণতি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো বর্তমান সিইসিকে