
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তার মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা আবারও আমাকে এই আসন থেকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন, এজন্য আমি তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এই অঞ্চলের মানুষের সেবা করার একটি সুযোগ আমি পেয়েছি। যদি জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো।
‘নির্বাচিত হলে এলাকার সামাজিক পরিবেশের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,’ বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আগের মতো এবারও আপনারা যদি আমাকে সমর্থন দেন এবং ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন, তাহলে এই অঞ্চলের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদান করবে।
মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে মোট ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ৩ জন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ১০ জন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।

