
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ জানুয়ারি দেশের সব জেলায় এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় সারা দেশে ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১০ লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থী।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ হাজার ১৬৬টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১টি।
দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। সে হিসাবে গড়ে প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নারী ও পুরুষ পরীক্ষার্থীদের আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। ব্লুটুথ বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস শনাক্তের জন্য পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। কানে কোনো ‘স্পাইক ইয়ারফোন’ আছে কি না, প্রয়োজনে টর্চলাইট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, যে কোনো ধরনের ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে পাওয়া গেলে পরীক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের একটি ওএমআর শিট দেওয়া হবে, যা অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। পেনসিল ব্যবহার করলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র—উভয়ই পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সার্বিকভাবে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকবে না।
ভুয়া পরীক্ষার্থী কিংবা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীরা আজ (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে admit.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের (মূল এনআইডি বা স্মার্টকার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। এছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকবে।
আমার বার্তা/জেএইচ

