
এক হাদিসে রাসুল (সা.) হজরত আলী (রা.)-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস :২০৬)
জানাজা নামাজে অংশ নেওয়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো জানাজার নামাজ আদায় করে, সে এক ‘কিরাত’ পরিমাণ নেকি লাভ করে আর যে ব্যক্তি মৃতের জানাজার নামাজ আদায় করার সাথে তার দাফনের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকে, তাহলে সে দুই ‘কিরাত’ পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বড়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৪৫)
অনেকের জানাজায় বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হয়। জানাজায় মুসলিমদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মৃত ব্যক্তির পরকালের জীবন সুন্দর করতে সহায়তা করে। হাদিসের মাধ্যমে এই সুসংবাদ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী জানাজার নামাজে মুসল্লির সংখ্যা যত বেশি হয়, মৃত ব্যক্তির জন্য তা তত বেশি কল্যাণ বয়ে আনে। হাদিস শরিফে এ সম্পর্কে স্পষ্ট সুসংবাদ রয়েছে।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় একশোজন মুসলমান অংশ নেয় এবং সবাই তার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ (ক্ষমা প্রার্থনা) করে, আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২০৮৭)
অন্য একটি বর্ণনায় সংখ্যার বিষয়টি আরও শিথিল করে আল্লাহর অশেষ রহমতের কথা জানানো হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজায় যদি এমন চল্লিশজন মুমিন উপস্থিত হয়, যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে না; তবে আল্লাহ ওই মাইয়্যেতের ব্যাপারে তাদের সুপারিশ (দোয়া) কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০৮৮)
আমার বার্তা/এমই

