জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রার কর্তৃক শিক্ষককে অপমান ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (03 gfongt) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না' ; 'এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়' ; 'স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে' শিক্ষককে হেনস্তা মানিনা মানবো না এসব স্লোগান দেন।
এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমরা যখন কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে তার দপ্তরে যায় তখন তিনি আমাদের সাথে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি বিরূপ এবং অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে নয় আমাদের বিভাগের স্যারের সাথে একই রকম ব্যবহার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই জুলাই পরবর্তী সময়ে এ রকম স্বৈরাচারী আচরণ মেনে হওয়া হবে না। তিনি যদি স্বৈরাচার হয়ে উঠতে চান তাহলে তার অবস্থা ভালো হবে না।
একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তিনি এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মত আচরণ করছে।তিনি যদি ক্ষেপতেই চান তাহলে তিনি মাঠে যাক। বদমেজাজী ও অযোগ্য ব্যক্তিদের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কোন অধিকার নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপমানজনক।
খোজ জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু রায়হান সিদ্দিক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর ইউজিসি প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের নিকট বাজে আচরনের শিকার হন। ওই শিক্ষককে বার বার অবজ্ঞা করা, দ্রুত করতে গেলে আরও দেরি হবে, লাঞ্চের অজুহাত দিয়ে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলা, স্বাক্ষর করার জন্য এখানে বসে নেই, এমন নানাভাবে হেনস্তা করেন রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদ।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বলেন, ইউজিসি থেকে আমাকে দ্রুত সময়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। আশা করেছিলাম এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে গেলে তিনি আন্তরিকতার সাথে স্বাক্ষর করে দিবেন। এরপরও কয়েক দফায় সারাদিন ঘুরে যখন ওনার স্বাক্ষরের জন্য শেষবার যাই আবার কেন গিয়েছি জানতে চেয়ে তিনি লাঞ্চ করবেন বলে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার এমন ব্যবহারে খুবই হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। এমন দায়িত্বশীল পদে থেকে কারো সঙ্গে এমন ব্যবহার করা সমীচীন নয়।
এর আগে রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক হেনস্তার, রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সংবাদের জন্য রেজিস্ট্রারের নিকট মন্তব্য নিতে চাওয়াই কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচারণ করেন তিনি।
আমার বার্তা/এমই