ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করে একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুরকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে চান্দুরা ডাকবাংলো মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
এক ঘণ্টাব্যাপী চলা এ কর্মসূচির ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর একটি ঐতিহ্যবাহী ও ভৌগোলিকভাবে সুসংগঠিত উপজেলা। এর তিনটি ইউনিয়নকে অন্য আসনে সংযুক্ত করার প্রস্তাব বিজয়নগরবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত। তারা খসড়া বাতিল করে আগের মতো আসন বিন্যাস পুনর্বহালের দাবি জানান। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানা হলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কেউ কেউ বিজয়নগরকে একটি পৃথক সংসদীয় আসনে উন্নীত করার দাবিও জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলামের নেতা আফজাল হোসেন, খন্দকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাইদ খন্দকার, সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান লিটন মুন্সী, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম জহির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মনির, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেন, জামায়াত ইসলামের ইউনিয়ন সেক্রেটারি শিহাব হোসেন, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী ইমরান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ইসি জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে একটি খসড়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এ তালিকার বিরুদ্ধে আপত্তি, অভিযোগ ও দাবি আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।
আমার বার্তা/এল/এমই