টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটনকেন্দ্র সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আটকা পড়েছেন অন্তত ৩০০ পর্যটক। মূলত গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ বাঁশের ভেলায় চড়ে খাগড়াছড়িতে ফিরেছেন।
সবশেষ বুধববার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির বাঘাইহাট বাজার এলাকায় রাস্তা প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানি আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে মাচালং বাজার এলাকায় রাস্তা, মাচালং ছড়ার উপর নির্মিত কালভার্ট পানিতে ডুবে যায়। বর্তমানে মাচালং বাজারের ঢালু রাস্তায় ও কালভার্টের প্রায় পাঁচ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মাচালং থেকে সাজেকগামী পর্যটকবাহী সব গাড়ি যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বুধবার নতুন করে পানি বাড়ছে। মূলত সড়কটি মঙ্গলবার থেকেই ডুবতে শুরু করে। এতে সাজেকে আটকা পড়েছেন অন্তত ৩০০ পর্যটক।
অন্যদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সাজেকগামী প্রায় ২৫০ জন পর্যটক খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার কিছু পর্যটক বাঁশের ভেলা ও নৌকায় করে খাগড়াছড়ি ফিরে এসেছে। তবে বুধবার পানি বেড়ে নতুন নতুন রাস্তা ডুবে যাওয়ায় এ পারাপারও বন্ধ হয়ে গেছে। সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সাজেকে প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
রিসোর্ট মালিক সমিতি জানায়, আটকা পড়া পর্যটকদের কাছ থেকে শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাজেকগামী প্রায় ২৫০ জন পর্যটক খাগড়াছড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে সাজেক ভ্রমণের পরিকল্পনা নিতে পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আকতার বলেন, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের মাচালং বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকালে সড়ক ডুবে যাওয়ার পর মূলত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবারও পানি বাড়ছে বলে জানতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে সাজেক ভ্রমণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আমার বার্তা/এল/এমই