সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জ এলাকায় পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে মোঃ রাকিব হাসান (৩৩) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার ওপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
আহত রাকিব হাসান বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে রহমতগঞ্জ ইয়াং অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবে একটি বৈঠকে মসজিদ উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা চলছিল, যেখানে বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সময় অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামী, যিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য, ক্লাবে প্রবেশ করে প্রবীণদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে রাকিব হাসান তাকে ক্লাব থেকে বের করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
পরদিন ৬ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাকিব হাসান তার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে যাওয়ার পথে রহমতগঞ্জ ১নং গলির সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ সুলতান তালুকদার (৫৫) ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে তার গতিরোধ করে।
৩নং আসামী (সুলতান তালুকদার)-এর নির্দেশে ১নং আসামী ছুরি দিয়ে রাকিব হাসানের বাম বুক লক্ষ্য করে আঘাত করে। তবে তিনি বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে হাতে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। এরপর অন্যান্য আসামীরা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়
রাকিব হাসানের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে আসামিরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। আশেপাশের লোকজন ও স্বাক্ষীগণ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উল্লেখিত আসামীদের নাম ১। মোঃ শাকিল (১৯), পিতা: মোঃ শাহীন ২। মোঃ শাহীন (২৩), পিতা: মৃত জাহাঙ্গীর আলম ৩। মোঃ সুলতান তালুকদার (৫৫), পিতা: মৃত বিশু তালুকদার — সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪। মোঃ রচি (২৭), পিতা: মোঃ সুলতান তালুকদার সকলেই রহমতগঞ্জ ১নং গলির বাসিন্দা। এছাড়াও আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে: মোঃ রাফি, মোঃ রোজ (পিতা: মোঃ রাঙ্গা শেখ) মোঃ নেওয়াজ ওরফে প্রেম (পিতা: মৃত জগলু) তারা সকলেই রহমতগঞ্জ ২নং গলির বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।